গৌতম বুদ্ধের একটি শিক্ষনীয় গল্প

 আজকে আমরা গৌতম বুদ্ধের একটি শিক্ষণীয় ছোট্ট গল্প পড়ব। সুখ-দুঃখ আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে তা আজকের গল্পের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে উপলব্ধি করতে পারবো

সুখ-দুঃখ-সম্পর্কে-গৌতম-বুদ্ধের-একটি-শিক্ষনীয় -গল্প

সূচনা

একবার গৌতম বুদ্ধ সুখ আর দুঃখ নিয়ে তার শিষ্যদের কিছু প্রবচন দিচ্ছিলেন। আমাদের জীবনের সুখ কেন আসে, আমাদের জীবনে দুঃখ কেন আসে এবং সুখ আর দুঃখের যে সাইকেল এটা কিভাবে আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে ভিন্ন কথা তিনি তার শিষ্যদের বলছিলেন। 

তো তিনি প্রবচনের মাঝে একটা খুব শিক্ষনীয় গল্প তার শিষ্যদের বলতে শুরু করলেন। এই গল্প যদি আপনারা শোনেন তাহলে আপনাদের ও জীবনে আসার সুখ আর দুঃখ সম্পর্কে অনেক ধারণা বদলে যাবে। এটা আপনাকে সুখের সময় নিজেকে কন্ট্রোল করতে শেখাবে আর যখন দুঃখ আসবে সেটাকে কিভাবে সহজে অভারকাম  করা যায় সেটা বলে যাবে। গল্পটা একজন বড় ব্যবসায়ী আর তার ছেলেকে নিয়ে। 

বুদ্ধের বলা গল্প

কোন এক এলাকায় একজন বড় ব্যবসায় ছিলেন। ব্যবসায়ীর কাছে এত পরিমাণ ধন সম্পদ ছিল যে তার ছেলে ছোট থেকে সমস্ত রকমের সুখ, সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বড় হয়েছিল। দুঃখ কি জিনিস, সেটা তা তার জীবনে কোনদিন উপলব্ধি করতে পারেনি। বন্ধুবান্ধব,ভোগ বিলাসীতা নিয়ে তার জীবন খুব ভালোভাবেই কাটছিল। কিন্তু, ছেলেটার বয়স যখন ২৪ বছর তখন তার বাবা অর্থাৎ সেই ব্যবসায়ী হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অনেক ডাক্তার দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করা হলো। কিন্তু, কোনো লাভ হলো না।

তো সেই ব্যবসায়ী যখন মৃত্যু শয্যায় ছিলেন তিনি তার ছেলেকে ডাকলেন। তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন,বাবা তুই জীবনে আজ পর্যন্ত শুধু সুখই ভোগ করেছিস। দুঃখ কি জিনিস সেটা তুই কোনদিন অনুভব করতে পারিস নি। কিন্তু, আমার এটা ভেবে চিন্তা হচ্ছে যে যখন দুঃখ তোর জীবনে আসবে তখন তুই সেটাকে কিভাবে সামলাবি। আমি তো মনে হচ্ছে আর বাঁচবো না। চলে যাওয়ার আগেই আমি তোকে বলে যেতে চাই যে, তুই খুব সাবধানে থাকিস। আমি চলে যাওয়ার পরে তোর কাছের মানুষরাই তোর দুঃখের কারণ হতে পারে। নিজেকে সংযত রাখতে শিখিস।তবেই কিন্তু, তুই সারা জীবন সুখে থাকতে পারবি এই বলে সে ব্যবসায়ী মারা গেলেন। সেই ছেলেটি বাবার মৃত্যুর পর জীবনের প্রথমবার দুঃখ কি জিনিস সেটা অনুভব করল। কিন্তু,তার বন্ধুরা তাকে বোঝাল তার তো এখন খুশি হওয়া উচিত। এতদিন তার বাবা থাকার দরুন তার কিছু বাধা ছিল, তার কিছু নিষেধ ছিল। কিন্তু,এখন সে একদম স্বাধীন। তার বাবা মারা যাওয়ার ফলে সমস্ত সম্পত্তি তার হয়ে গেছে। এখন সে যেভাবে চাইবে নিজের জীবন সেভাবে কাটাতে পারে। যা চাইবে তাই করতে পারে। যা চাইবে তা কিনতে পারে। যাকে চাইবে তাকে দিতে পারি। যেখানে চাইবে সেখানে ঘুরতে যেতে পারে। তাই, এখন তার দুঃখ পাওয়ার বদলে খুশি হওয়া উচিত। আনন্দ করা উচিত।

তো সেই ছেলেটা তার বন্ধুর কথা শুনে ভাবলো এরা তো ঠিকই বলেছে। এখন তো আমার কন্ট্রোলে এ বিশাল সম্পত্তি। এখন আমি যেমন খুশি তেমনভাবে নিজের জীবনকে উপভোগ করতে পারি। আমি শুধু শুধুই কষ্ট পাচ্ছিলাম। বাবা শুধু শুধু আমাকে ভয় দেখিয়ে গেছে। 

যেমন, ভাবা তেমন কাজ। সে তার বাবার মৃত্যুর কথা ভুলে ভোগ বিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। দিনরাত বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরা,নেশা করা, ফুর্তি করা, টাকা উড়ানো এসবই হয়ে গেল তার জীবনের ডেইলি রুটিন। এর মধ্যে সে একদিন খবর পেল তার নগরের পাশে একটা মন্দির তৈরি হচ্ছে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে, মন্দিরে সবচেয়ে বেশি দান দেবে তার নাম সেই মন্দিরের একটা বড় পাথরে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে। এ খবরটা শুনে তার মনে মন্দিরে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখানোর ইচ্ছে জাগলো। মন্দিরের দান দেওয়াটা আসল উদ্দেশ্য নয়, নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখানো ছিলো তার আসল উদ্দেশ্য। তো সে নিজের প্রচুর ধনসম্পত্তি মন্দিরে দান করে দিল। কথামতো তার নাম সেই মন্দিরের একটা বড় পাথরে স্বর্ণাক্ষরে লিখা হলো। তো নিজের নাম এত বড় মন্দিরের পাথরে গায়ে দেখে তার অহংকার চূড়ান্ত সীমায় চলে গেল। মন্দির উদ্বোধনের সময় আমন্ত্রণ জানানো হলে সে তার কিছু সঙ্গী-সাথীকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছু বক্তব্য রাখল, সবার বাহবা পেল। এতকিছুর পরে যখন সে বাড়ি ফেরার জন্য মন্দির থেকে বের হচ্ছিল, মন্দিরের গেটের বাইরে একজন ভিখারি তার পথ আটকালো। সে ভিখারি তাকে বলল যে, বাবু কিছু ভিক্ষা দিয়ে যান সকাল থেকে কিছু খাইনি। ছেলেটি অহংকারের সাথে রাগান্বিত হয়ে বলল, তোমাদের মত ভিখারি কে ঈশ্বর কেন যে সৃষ্টি করেছে কে জানে। তোমরা শুধু দিনরাত একটু খাবারের জন্য সবার কাছে হাত পেতে বেড়াও। তোমরা হলে নরকের কীট। তোমাদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। এসব আজেবাজে কথা বলে সে ওখান থেকে চলে গেল। 

এদিকে যতদিন যাচ্ছিল ছেলেটির বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন কাছের লোকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সবাই বুঝতে পেরেছিল যে, এর একটু প্রশংসা করলেই টাকা-পয়সা লুটিয়ে দেবে।। সবাই যেহেতু তার প্রশংসা করত, সে তখন নিজেকে অন্য গ্রহের মানুষ মনে করছিল। টাকা পয়সা জলের মতো উড়াচ্ছিল।

তার এই ভোগ বিলাসের কারণে তার কাছে থাকা সমস্ত সম্পত্তি ধীরে ধীরে শেষ হয়ে গেল। সে অনেক বড় ঋণে জড়িয়ে পড়লো। যখন তার ঋণ অনেক বেড়ে গেল এবং ঋণী জর্জরিত হয়ে পড়ল তখন সে তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের কাছে সাহায্যের জন্য গেল। তাদের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চাইল। কিন্তু,বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সকলেই তার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করল। তাকে বাড়ি থেকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। কোন উপায় না পেয়ে, সে তার শেষ আশ্রয়স্থল বাড়িটি বিক্রি করে ঋণ শোধ করল। 

আরো পড়ুনঃ  নিজেকে সুখী রাখার উপায়; গৌতম বুদ্ধের শিক্ষণীয় গল্প


সে বুঝতে পারলে যে, তার বাবা তাকে একদম ঠিক কথাই বলেছিল। যাদের সে আপন ভাবতো, তারা তার সবচেয়ে খারাপ সময়ে আসল চেহারা দেখিয়ে দিল। তাকে তো কেউ সাহায্যই করেনি, এখন আর কেউ একটা খোঁজও নেই না।

তো সে এবার সে মন্দিরে গেল যেখানে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে দেখা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে সে বলল আমাকে কি চিনতে পেরেছেন আমি সেই ব্যক্তি যার নামে এই দেওয়ালে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। আমিতো এখন পথের ফকির হয়ে গেছি। দয়া করে আমাকে এখন একটু ধন সম্পদের সাহায্য করুন। তো সেখানে থেকে তাকে বলা হলো যে মন্দিরের বাইরে অনেক ভিখারি অপেক্ষা করছে। সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে ।তাকে মন্দির থেকে খাবার দেওয়া হবে। আর তার সাথে এটাও বলা হলো যে কোন ভিখারির নাম স্বর্ণাক্ষরে মন্দিরে দেওয়ার লেখা থাকতে পারে না। তার নামটি মুছে দেওয়া হবে। তো সে মন্দির থেকে বের হয়ে, ভিখারিদের পাশে বসলো। তো তার প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল কিন্তু কারো কাছে খাবার চাইতে পারছিল না। তো বেশ কিছুক্ষণ পর তার সামনে একজন ভিক্ষুক এসে দাঁড়ালো। সে বলল, আমাকে চিনতে পারছেন? আমি সে ভিখারি যাকে আপনি একদিন খুবই আজেবাজে কথা বলেছিলেন। আজকে মন্দিরে আপনার সাথে কি ঘটেছে আমি তা দেখেছি এই বলে সে তার সামনে কিছু খাবার এগিয়ে দিল খাওয়ার জন্য। 

সে ভিক্ষুক থেকে খাবার অফার করার পর সে তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল। সে বলল আমার বন্ধু ও বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে, আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, সে তুমি আমাকে খাবার দিলে যাকে একদিন আমি খুব বাজে বাজে কথা বলেছিলাম। আমি অহংকারে তখন অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আজ আমি বুঝতে পারছি যে, যাদের আমি আপন ভাবতাম, কাছের মানুষ ভাবতাম তারা সবাই মুখোশধারী ছিল। প্রকৃতপক্ষে তারা কেউ আমার আপন ছিল না। এই বলে সে ভিখারির দেওয়া খাবার খেতে লাগলো। জীবনে প্রথমবার খাবার খেয়ে তারা এত বেশি তৃপ্তি হল যেটা তার এর আগে কখনো হয়নি। এতদিন তো তাকে খাবারের জন্য কখনো চিন্তা করতে হয়নি। আজকে প্রথমবার তাকে খাবারের জন্য ভাবতে হয়েছে। তাই, হয়তো আজকের খাবারের স্বাদটা এক পরম তৃপ্তির স্বাদ ছিল। 

খাবার খেতে খেতে সে ভিখারিকে তার জীবনের সব গল্প বলল। ভিখারি সব শুনে তার ঝোলা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করে ছেলেটাকে দিল। ছেলেটি ছোট ব্যাগটি খুলে দেখলো তাতে অনেকগুলো সোনার মুদ্রা আছে। ছেলেটি অবাক হয়ে বলল,তুমি এত স্বর্ণের মুদ্রা কোথায় পেলে। ভিখারি বলল,এগুলো আমার না এগুলো আপনারই। আপনি যেদিন আমাকে অপমান করে এখান থেকে চলে গেলেন।যাওয়ার সময় এটা আপনার কাছ থেকে পড়ে গিয়েছিল। এটা আমি তুলে রেখেছিলাম। যেদিন আপনার সঙ্গে দেখা হবে সেদিন আপনাকে ফেরত দিবো এই ভেবে। কিন্তু, আজকে যে আপনার সাথে এভাবে আমার দেখা হবে তা কখনো ভাবতে পারিনি। ছেলেটি বলল আমি যাদের আমার আপন ভাবতাম যাদের আমি নিজের ইচ্ছায় ধন-সম্পত্তি দিয়েছিলাম তারা আজকে আমার বিপদের দিনে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর তুমি এতগুলো স্বর্ণমুদ্রা যেগুলো আমার কাছে থেকে ভুলবশত পড়ে গেছে সেগুলো পেয়ে আজ অবধি আমার জন্য নিজের কাছে রেখে দিয়েছো। তোমার এই সাহায্য আমি কখনো ভুলবো না। আমি এই মুদ্রা ভাঙ্গিয়ে আবার নিজের ব্যবসা শুরু করব। আর তোমাকে আমার ব্যবসার সঙ্গী বানাবো। এই বলে সে সেখান থেকে চলে গেল। 

গল্প থেকে শিক্ষা:

গৌতম বুদ্ধের বলা ছোট এই গল্পটা আমাদের এমন একটা শিক্ষা দিয়ে যায়, যেটা বুঝে গেলে সুখ আর দুঃখ এ দুটো জিনিস কে কিভাবে সামলাতে হবে সেটা আমরা ভালো করে বুঝে যাব। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে  সুখ-দুঃখ এর দুটো জিনিস একটার পর একটা আসতে থাকে। আমাদের সম্পূর্ণ জীবন এই সুখ দুঃখের বৃত্তের মধ্যে ঘুরতে থাকে। আমরা নিজের মত শান্তি আর পরিতৃপ্তি অনুভব করি যখন আমাদের জীবনে সুখ থাকে। আমাদের মন অশান্ত হয়ে যায় যখন আমরা দুঃখের সম্মুখীন হয়। কিন্তু, আমরা আমাদের জীবনের অনেক বড় বড় ভুল সুখের সময় করে ফেলি। আমাদের জীবনে যখন সুখ থাকে তখন মনে হয় আমাদের এ ভালো সময় চিরস্থায়ী হবে। সে ভেবে আমরা উশৃংখল জীবন যাপন করতে শুরু করি। অনেক সময় আমাদের অহংকারে সুখের মুহূর্তে মাটিতে পা পড়ে না। আমরা সেসব মানুষকে আমাদের কাছের মানুষ ভেবে ফেলি, যারা শুধু আমাদের সুখের মুহূর্তের সঙ্গী হবে। আর সে সমস্ত মানুষকে অপমান করে বসি যাদের আমরা আমাদের থেকে ছোট মনে করি। তাই সুখ অনেক সময় আমাদের চোখে মিথ্যে কাপড় পড়িয়ে রাখে। সুখ আমাদের সত্যিটা কি সেটা দেখিয়ে দেয় না,আড়ালে রাখে। কে আমাদের ভালো চায়,আর কে ভালো চায়না, অভিনয় করছে এ দুটোর তফাৎ আমাদের বুঝতে দেয় না।কিন্তু, দুঃখ আমাদের সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। জীবনে যখন দুঃখ আসে একদিকে আমাদের চোখে থাকা মিথ্যে আর ভবের কাপড় খুলে পড়ে যায়। আর অন্যদিকে যারা আমাদের বন্ধু হওয়ার অভিনয় করছিল তাদের অভিনয় আর মুখোশ গুলো খুলে পড়ে যায়। এ সময় আমরা বুঝতে পারি, কে আমাদের আসল বন্ধু আর কে আমাদের সত্যিকারের কাছের মানুষ। দুঃখ আরেকটি বড় কাজ করে যায়, সুখের সময় আমাদের মধ্যে যে অহংকারের রাজপ্রাসাদ তৈরি হয় দুঃখ সেটাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। আর অহংকার ভেঙ্গে যাওয়ার পর আমরা সেই ভাঙ্গা কাঁচের মধ্যে নিজের রিয়ালিটি কে দেখতে পায়। আমরা বুঝতে পারি, আমরা আমাদের চারপাশে থাকা অন্য সবার থেকে আলাদা নয়। আমরাও তাদের মত সাধারণ একজন মানুষ। দুঃখ আমাদের বিনম্র বানায়,দুঃখ আমাদের সহানুভূতিশীল বানায়।

তাহলে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি আমরা চাইবো না আমাদের জীবনে সুখ আসুক? অবশ্যই চাইবো। প্রকৃতপক্ষে আমাদের চাওয়া না-চাওয়ার উপর সুখ বা দুঃখ কোনটাই আশা নির্ভর করে না। এগুলো তো আসবে আবার চলে যাবে। আমাদের যেটা উচিত সেটা হলো সুখের সময় সবচেয়ে বেশি সাবধান থাকা। আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে সুখ চিরস্থায়ী নয়। সুখে সময়ে যদি আমরা নিজের চঞ্চল মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে তা আমাদের অহংকারকে সৃষ্টি হতে দেবে না। আমরা কিছু বড় ভুল করা থেকে বেঁচে যাব। আর যখন আমাদের জীবনে দুঃখ আসবে, আমাদের তারা তখন একটু হলেও কম কষ্ট হবে। কারণ,আমরা জানি, যে দুঃখ চিরস্থায়ী হবে না। এটাও একদিন শেষ হয়ে যাবে। সুখের সময় করা আত্মনিয়ন্ত্রণ, দুঃখের সময় আমাদের শক্তি দেবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url